Search This Blog

Wednesday, October 17, 2012

ওয়েবসাইটে ফ্ল্যাশ চ্যাট (রুম) যোগ করুন (ফ্রীতে)


আজ আপনাদের সাথে আলোচনা করবো কিভাবে আপনি আপনার ওয়েবসাইট/ব্লগে বিনামূল্যে একটি ফ্লাস চ্যাট রুম যুক্ত করবেন। এর দারা আপনি আপনার visitor দের সাথে আরও ভালভাবে যোগাযোগ রাখতে পারবেন ।এটা আপনার সাইট এর visiter বাড়াতেও সাহায্য করবে । তাহলে শুরু করা যাক …
প্রথমে আপনাকে  http://www.123flashchat.com/free-flash-chat.html তে ক্লিক করতে হবে। এখান থেকে আপনি আপনার প্রয়োজন মত সবকিছু নির্ধারন করে দিবেন ।
১. Chat Room Name: আপনি যে নামে চ্যাটরুম করতে চান তা এইঘরে লিখে দিবেন । আমি দিলাম Techtunes.
২. Choose Language: এখান থেকে আপনি আপনার প্রয়োজনীয় ভাষা টি নির্ধারন করে দিতে পারেন। Auto Detect নির্ধারন করলে আপনার জন্য বারতি সুবিধা হল বাংলা ব্যবহার করতে পারবেন।
৩. Choose Skin: আপনার তৈরি করা চ্যাটরুমের Background নির্ধারন করে দিন।
৪. Chat Client Width: আপনার তৈরীকৃত চ্যাট রুমের প্রসস্থতা লিখে দিতে পারেন এখানে।
৫. Chat Client Height: আপনার তৈরীকৃত চ্যাট রুমের দৈর্ঘ্য লিখে দিতে পারেন এখানে।
৬. Affiliate ID: যদি এই site এ আপনার আইডি করা থাকে তবে আপনি নস আইডি ব্যবহার বরতে পারেন বা নতুন আইডি তৈরি করে ব্যবহার করতে পারেন। এটা optional.
৭. Update: সমস্থ কিছু ঠিকঠাক করে এখানে ক্লিক করুন।
৮. Preview: আপনি ইচ্ছা করলে আপনার তৈরি করা চ্যাট রুমটা ওয়েবসাইট/ব্লগে submit করার আগে এখানে Click করে একবার দেকে নিতে পারেন।
৯. Select Code: এবার এখানে click করুন। তাহলে code select হবে । তার পর Key Board থেকে Ctrl+C চেপে code টুকু copy করে নিন এবং আপনার blog এ add a new gadget দারা যেখানে ইচ্ছা past করুন । ধন্যবাদ সকলকে ।

Sunday, June 3, 2012

নোকিয়া ফোনে সফটওয়্যার ছাড়াই ফোল্ডার লুকিয়ে রাখুন সহজেই


মোবাইলে হয়তো অনেকেরই কিছু ফোল্ডার আছে, যা একান্তই ব্যাক্তিগত।বিভিন্ন সফটওয়্যার এর মাধ্যমে এই ফোল্ডার গুলো লুকিয়ে রাখতে পারেন,কিন্তু নকিয়া মোবাইলে খুব সহজেই এবং দ্রুত গতিতে এই ফোল্ডার লুকানোর কাজটি করতে পারেন।তো চলুন দেখি কিভাবে করা যায়।

এর জন্য প্রথমে যেকোন নামে একটা ফোল্ডার তৈরি করুন এবং তার নামের শেষে .jad যুক্ত করুন (photo.jad)। যে  ফাইল গুলো  লুকাতে চান সেগুলো এই ফোল্ডারের ভিতর রাখুন।এবার আরেকটা ফোল্ডার তৈরি করুন যেকোন নামে এবং তার নামের শেষে .jar যুক্ত করুন(photo.jar)।এবার দেখুনতো photo.jad নামক ফোল্ডারটা আছে নাকি,কি নাই।চিন্তার কিছু নাই photo.jar ফোল্ডারটি ডিলিট করে দিন অথবা photo.jar এর শেষের যেকোন একটি ওয়ার্ড পরিবর্তন অথবা মুছে দিন।দেখুন এইবার আপনার photo.jad ফোল্ডারটি ফিরে আসছে।এই ভাবে আপনার প্রয়োজনীয় ফাইল ফোল্ডার সুরক্ষা করতে পারবেন।তবে কম্পিউটারে এই ২টো ফোল্ডারই শো করবে।

Saturday, May 19, 2012

মোবাইল থেকে ট্রেনের টিকেট কিনুন


গ্রামীণফোন এবার আপনার জন্য নিয়ে এসেছে প্রযুক্তির সবচেয়ে নতুন উপহার, মোবিক্যাশ টিকেটিং। মোবিক্যাশ টিকেটিং সার্ভিসের মাধ্যমে আপনি বিভিন্ন স্থানের ট্রেনের টিকেট আপনার মোবাইল ফোনের মাধ্যমেই কেটে নিতে পারেন। এখন আর অনেক ট্রাফিক ঠেলে গিয়ে লম্বা লাইনে দাঁড়িয়ে টিকেট কাটার প্রয়োজন নেই। টিকেট কাটার জন্য ঘরে বসে কেটে নিলেই হলো। মোবিক্যাশ টিকেটিং-এর মাধ্যমে এখন আপনি আপনার প্রিয়জনের কাছে পৌঁছে যাবেন সহজেই।
Mobicash ট্রেনের টিকেট মোবাইল ফোনের মাধ্যমেই কেটে নিন, বিস্তারিত দেখুন

রেজিস্ট্রেশন:

আপনার জিপি মোবাইল ফোন থেকে টাইপ করুন TKET আর পাঠিয়ে দিন 1200 নম্বরে। ফিরতি এসএমএস-এ আপনাকে একটি PIN নম্বর এবং নির্দেশনা দেয়া হবে। ফোন থেকে আপনার PIN নম্বরটি পরিবর্তন করুন (ডায়াল করুন *777*4* আপনার কাছে পাঠানো ৪টি সংখ্যাযুক্ত PIN* নতুন ৪টি সংখ্যাযুক্ত নতুন PIN* নতুন ৪টি সংখ্যাযুক্ত নতুন PIN#)। যারা ইতিমধ্যেই মোবাইল ফোনের বিলপে সার্ভিস ব্যবহার করছেন, তাদের এই রেজিস্ট্রেশন করতে হবে না।

বুকিং:

আপনি কিছু নির্ধারিত রুটের টিকেট বুক করতে পারবেন। কিন্তু বুক করার ৩০ মিনিটের মধ্যে আপনার টিকেট কিনতে হবে, না হলে বুক করা টিকেটটি অন্যরা কিনে ফেলতে পারে।

বুকিং পদ্ধতি:

  • ফোন থেকে *131*1# ডায়াল করুন
  • Answer বাটন চেপে যাত্রার তারিখ টাইপ করুন এবং Send প্রেস করুন (আপনার যাত্রার তারিখ ১৫ সেপ্টেম্বর হলে টাইপ করুন 15, ০৫ সেপ্টেম্বর হলে টাইপ করুন 05)।
  • Answer বাটন চেপে আপনার যাত্রা শুরুর স্টেশনের পাশে নম্বরটি টাইপ করে Send প্রেস করুন
  • আপনার গন্তব্য স্টেশনের প্রথম তিনটি অক্ষর টাইপ করুন। আপনার সামনে বেশ কয়েকটি স্টেশনের নাম দেখা যাবে। Answer বাটন চেপে আপনার কাঙিক্ষত স্টেশনের নামের পাশে নম্বরটি দিয়ে Send প্রেস করুন
  • আপনার ট্রেনটি বেছে নিন (কাঙিক্ষত আন্তঃনগর ট্রেনের পাশে নম্বরটি বসিয়ে Answer বাটন চেপে Send প্রেস করুন)
  • টিকেটের ক্লাস বেছে নিন (কাঙিক্ষত ট্রেনের ক্লাসের পাশে নম্বরটি বসিয়ে Answer বাটন চেপে Send প্রেস করুন)
  • প্রয়োজন অনুযায়ী টিকেট অপশন বেছে নিন (কাঙ্ক্ষিত টিকেট অপশন কম্বিনেশনের পাশে নম্বরটি বসান)
  • বুকিং কনফার্ম করার জন্য 1 চাপুন (বাতিল করার জন্য 2 চাপুন)
  • বুকিং কোড ও টিকেটের দামসহ আপনি একটি এসএমএস পাবেন

বুকিং-এর পরের পদক্ষেপ:

  • যেকোন গ্রামীণফোন সেন্টার বা বিলপে চিহ্নিত আউটলেট থেকে বুকিং দেয়ার ৩০ মিনিটের মধ্যে আপনার মোবিক্যাশ রিফিলে প্রয়োজনীয় পরিমাণ টাকা রিফিল করে নিন।
  • ফোন থেকে ডায়াল করুন *131*2#
  • আগের এসএমএস-এ প্রাপ্ত বুকিং কোডটি টাইপ করুন
  • আপনার PIN নম্বর দিন
  • কনফার্ম করার জন্য 0 চাপুন
  • এসএমএস-এর মাধ্যমে আপনি একটি ই-টিকেট নম্বর পাবেন। ই-টিকেট নম্বরটি সেইভ করুন। রেল স্টেশনের নির্ধারিত মোবিক্যাশ বুথ থেকে বা কাছের গ্রামীণফোন সেন্টার থেকে ই-টিকেটটি দেখিয়ে মূল টিকেটটি সংগ্রহ করুন। দয়া করে যাত্রা করার কমপক্ষে ১ ঘন্টা আগে টিকেটটি সংগ্রহ করুন।

সরাসরি ই-টিকেট কিনুন:

আপনার মোবিক্যাশ ব্যালেন্সে প্রয়োজনীয় পরিমাণ অর্থ ইতিমধ্যেই থাকলে আপনি বুকিং না দিয়ে সরাসরি ই-টিকেট কিনতে পারেন। আপনার যদি ট্রেনের টিকেটের দাম জানা থাকে, তাহলে আপনি বুঝতে পারবেন যে আপনার মোট কত টাকা দিতে হবে। গণনা করার সময় প্রতি সিটের জন্য ২০ টাকা সার্ভিস চার্জ ধরে নেবেন।

সরাসরি কেনার পদ্ধতি (বুকিং ছাড়া):

  • ফোন থেকে *131*3# ডায়াল করুন
  • PIN নম্বর দিন
  • Answer বাটন চেপে যাত্রার তারিখ টাইপ করুন এবং Send প্রেস করুন (আপনার যাত্রার তারিখ ১৫ সেপ্টেম্বর হলে টাইপ করুন 15, ০৫ সেপ্টেম্বর হলে টাইপ করুন 05)।
  • Answer বাটন চেপে আপনার যাত্রা শুরুর স্টেশনের পাশে নম্বরটি টাইপ করে Send প্রেস করুন
  • আপনার গন্তব্য স্টেশনের প্রথম তিনটি অক্ষর টাইপ করুন। আপনার সামনে বেশ কয়েকটি স্টেশনের নাম দেখা যাবে। Answer বাটন চেপে আপনার কাঙিক্ষত স্টেশনের নামের পাশে নম্বরটি দিয়ে Send প্রেস করুন
  • আপনার ট্রেনটি বেছে নিন (কাঙিক্ষত আন্তঃনগর ট্রেনের পাশে নম্বরটি বসিয়ে Answer বাটন চেপে Send প্রেস করুন)
  • টিকেটের ক্লাস বেছে নিন (কাঙিক্ষত ট্রেনের ক্লাসের পাশে নম্বরটি বসিয়ে Answer বাটন চেপে Send প্রেস করুন)
  • প্রয়োজন অনুযায়ী টিকেট অপশন বেছে নিন (কাঙ্ক্ষিত টিকেট অপশন কম্বিনেশনের পাশে নম্বরটি বসান)
  • বুকিং কনফার্ম করার জন্য ১ চাপুন (বাতিল করার জন্য ২ চাপুন)
  • এসএমএস-এর মাধ্যমে আপনি একটি ই-টিকেট নম্বর পাবেন। ই-টিকেট নম্বরটি সেইভ করুন। রেল স্টেশনের নির্ধারিত মোবিক্যাশ বুথ থেকে বা কাছের গ্রামীণফোন সেন্টার থেকে ই-টিকেটটি দেখিয়ে মূল টিকেটটি সংগ্রহ করুন। দয়া করে যাত্রা করার কমপক্ষে ১ ঘন্টা আগে টিকেটটি সংগ্রহ করুন।

লক্ষ্য করুন:

  • মোবিক্যাশ টিকেটিং সার্ভিস ব্যবহার করে কেনা প্রতিটি টিকেটের জন্য ২০ টাকা সার্ভিস চার্জ প্রযোজ্য হবে।
  • একজন গ্রাহক একটি মোবাইল নাম্বার থেকে মাসে ২টি ট্রানজেকশন করতে পারবেন।
    >> প্রতি ট্রানজেকশনে গ্রাহক ১-৪টি সিট বরাদ্ধ নিতে পারবেন।
    >> একটি নির্দিষ্ট গন্তব্যের জন্য গ্রাহক মাসে একটিই ট্রানজেকশন (১-৪টি সিট) করতে পারবেন। উদাহরণসরুপ, একজন গ্রাহক যদি ফেব্রুয়ারী মাসে ঢাকা থেকে চট্টগ্রাম যাওয়ার টিকেট কিনেন, একই মাসে উল্লেখিত গন্তব্যের জন্য আর কোন টিকেট কিনতে পারবেন না। কিন্তু গ্রাহক চট্টগ্রাম থেকে ঢাকা অথবা অন্য কোন গন্তব্যে যাওয়ার টিকেট কিনতে পারবেন।
  • এখন থেকে ভ্রমন তারিখের ৩ দিন আগে টিকেট কেনা যাবে। যেমন, আপনার ভ্রমন তারিখ যদি ২০শে ফেব্রুয়ারী হয়, ১৭ই ফেব্রুয়ারীতে আপনার টিকেট ইস্যু করতে পারবেন।
  • টিকেট কেনার সময়ঃ সকাল ৯টা থেকে রাত ১০টা
  • মোবিক্যাশ টিকেটিং সার্ভিসের মাধ্যমে কেনা টিকেট হস্তান্তরযোগ্য নয়। এই সার্ভিসটি সম্পূর্ণভাবে বাংলাদেশ রেলওয়ের কাছে কতগুলো টিকেট আছে, তার ওপর নির্ভর করে।
  • বাংলাদেশ রেলওয়ে যেকোন সময় টিকেটটি বাতিল করার অধিকার রাখে। এক্ষেত্রে তাঁদের সিদ্ধান্তই চুড়ান্ত বলে বিবেচ্য হবে। টিকেট রিফান্ডের জন্য বাংলাদেশ রেলওয়ের নিয়মকানুন কার্যকর হবে এবং বাংলাদেশ রেলওয়ে কর্তৃপক্ষের সিদ্ধান্তই চুড়ান্ত বলে গণ্য করা হবে।
  • আপনাকে যাত্রা শুরুর কমপক্ষে ১ ঘন্টা আগে রেল স্টেশনের নির্ধারিত বুথ থেকে কাগজের মূল টিকেটটি সংগ্রহ করতে হবে। এছাড়াও এই টিকেট নির্দিষ্ট কিছু গ্রামীণফোন সেন্টার থেকেও সংগ্রহ করা যায়। গ্রামীণফোন সেন্টার থেকে টিকেট সংগ্রহ করার সময় আপনার ট্রেনের সময় এবং গ্রামীণফোন সেন্টারের সময় (সকাল ৯টা থেকে সন্ধ্যা ৭টা) খেয়াল করবেন।
  • যাত্রা শুরুর সর্বোচ্চ ৩ দিন আগে মোবিক্যাশ টিকেটিং সার্ভিস ব্যবহার করে টিকেট কেনা যায়। যাত্রা শুরুও ১২ ঘন্টা আগে টিকেট বিক্রি বন্ধ হয়ে যাবে তবে আপনি যাত্রার ৬ ঘন্টা আগে পর্যন্ত বুকিং ছাড়া সরাসরি টিকেট কিনতে পারবেন। যাত্রার ৬ ঘন্টা আগে থেকে আর মোবাইলের মাধ্যমে ই-টিকেট কেনা যাবে না।
  • যদি মোবিক্যাশ ব্যালেন্স ই-টিকেট কেনার সময় ব্যবহার না করা যায়, তবে সেক্ষেত্রে ব্যালেন্সটি বিল পে, ফ্লেক্সিলোড ও পরবর্তীতে ট্রেন টিকেট কেনার জন্য ব্যবহার করা যাবে।
  • যেসব গ্রামীণফোন সেন্টার থেকে প্রিন্ট করা টিকেট সংগ্রহ করা যাবে, সেগুলো হচ্ছে:

ঢাকা:

মতিঝিল, গুলশান, ফার্মগেট, মিরপুর ও ধানমন্ডি গ্রামীণফোন সেন্টার

চট্টগ্রাম:

আগ্রাবাদ ও জিইসি মোড় গ্রামীণফোন সেন্টার

রাজ়শাহী:

রাজশাহীর নাটোর রোডের গ্রামীণফোন সেন্টার

সিলেট:

সিলেটের এয়ারপোর্ট রোড, আম্বরখানার গ্রামীণফোন সেন্টার
মূল তথ্যঃ  গ্রামীণফোন

Sunday, April 29, 2012

মেমরি কার্ড, পেন ড্রাইভ ফরম্যাট নিচ্ছে না? জেনে নিন ইউএসবি ডিস্ক ফরম্যাটের উপায়

BD MAP
বিভিন্ন কারনে ইউএসবি ডিস্ক (ফ্ল্যাশ ডিস্ক) ফরম্যাট দেয়ার প্রয়োজন পড়ে। কিন্তু অনেক সময় ভাইরাস বা অন্য কারনে ইউএসবি ডিস্ক (পেন ড্রাইভ, মেমরি কার্ড ইত্যাদি) ফরম্যাট নিতে চায় না। তবে নিচের পদ্ধতিগুলোর যে কোন একটি অ্যাপ্লাই করলে ইউএসবি ডিস্ক সহজেই ফরম্যাট হবে।

১) কমান্ড প্রম্পট ব্যবহার করেঃ

এটি পেন ড্রাইভ/ মেমরি কার্ড ফরম্যাট করার সবচেয়ে কার্যকরী পদ্ধতি।

এক্ষেত্রে, যা করতে হবেঃ

প্রথমে Start থেকে Run এ গিয়ে "cmd" লেখাটি টাইপ করে এন্টার দিন।
যে উইন্ডোটি আসবে সেখানে লিখুন " Format K: "। লক্ষ্য করুন ইউএসবি ডিস্কটি K ড্রাইভ হিসেবে কাজ করছে বলে "Format K:" লেখা হয়েছে।
এন্টার দিন।
একটি উইন্ডো আসবে। এখানে "Y/N" চাইলে "Y" টাইপ করে এন্টার দিয়ে ডিস্কটি পুনরায় নরমালি ফরম্যাট দিয়ে দেখুন ফরম্যাট নিচ্ছে।
২) এনটিএফএস ফরম্যাটঃ

পেন ড্রাইভ/ মেমরি কার্ডকে সাধারনত Fat 32 ফাইল অবস্থায় ফরম্যাট করা হয়। তবে Fat 32 এ সমস্যা হলে ডিস্কটিকে NTFS এ ফরম্যাট করা যায়।

এজন্য My Computer থেকে পেন ড্রাইভ/ মেমরি কার্ড এর উপর ডান বাটন ক্লিক করে Properties> Hardware এ গিয়ে পেন ড্রাইভ/ মেমরি কার্ডটি নির্বাচন করতে হবে।

এরপর Properties> Policies থেকে Optimize for performance নির্বাচন করে ok ক্লিক করতে হবে।

৩) উইন্ডোজের ডিস্ক ম্যানেজমেন্ট বা ডস ফরম্যাট ব্যবহার করেঃ

এক্ষেত্রে Start থেকে Control Panel এ গিয়ে Administrative Tools এ দুই বার ক্লিক করতে হবে। তারপর Computer Management এ দুই বার ক্লিক করতে হবে। এখন বাঁ পাশ থেকে Disk Management এ ক্লিক করলে ডান পাশে পেনড্রাইভ/ মেমরি কার্ডসহ সব কটি ড্রাইভের লিস্ট দেখাবে। সেখান থেকে পেন ড্রাইভ/ মেমরি কার্ড এর উপর মাউস রেখে ডান বাটনে ক্লিক করে ফরম্যাট করলে পেনড্রাইভ ফরম্যাট হবে।

Friday, March 23, 2012

শচীন সেঞ্চুরি করলেই ইন্ডিয়া ম্যাচ হারে কেন?

বাংলাদেশের সাথে শচীনের শততম সেঞ্চুরির পরে সেই প্রশ্ন আবারো উঠেছে: শচীন সেঞ্চুরির জন্য খেলে, দলের জন্য খেলে না। তাই 'স্লো' খেলে নিজের সেঞ্চুরি পেলেও দলকে ডুবিয়েছে। ইন্ডিয়ান বোলাররাতো উইক, জানা কথা, তাই তাদের ব্যাটসম্যানদেরকেই পার স্কোরের চেয়ে অন্তত শ'খানেক রান বেশি করতে হবে এবং সেটা করে যেতেই হবে। না হলে দোষ। অবশ্য বাংলাদেশের বিপক্ষে পার স্কোর কতো, ইন্ডিয়ার সো-কলড সমর্থকরা অবশ্য সে বিষয়ে সময়ের সাথে সাথে মত পরিবর্তন করে। যেমন, খেলার আগে বাংলাদেশ তো ২০০ রানই করতে পারবে না, ইন্ডিয়া ২৯০ করার পরে এটা দাঁড়ায় বাংলাদেশ ঠেলেঠুলে শ'দুয়েক রান করতে পারে, আর খেলা শেষে হারের পরে দাঁড়ায় ৪০০র টার্গেট কেন দিতে পারলো না, কেন শচীন ১৪০ বল খেলে মাত্র ১১৪ রান করলো, ২০০ করতে পারলো না! শততম সেঞ্চুরি করার পরে 'ইন্ডয়ান সমর্থকদের' পক্ষ থেকে শচীনের বাড়িতে পাথর নিক্ষেপের সাজেশনও এসেছে!

আমরা দর্শকদের এই আচরণের কারণ বিশ্লেষণে না গিয়ে একটু পরিসংখ্যানে চোখ বুলাই, দেখি দর্শকদের এই আচরণ জাস্টিফায়েড কিনা।

এই পোস্টের ফোকাস ওডিআই। কারণ, স্ট্রাইক রেট ওডিআইতে বেশি গুরুত্বপূর্ণ।

ওডিআইতে শচীনের মোট সেঞ্চুরি ৪৯ টা, স্ট্রাইক রেট ৯৯,৯%, যেখানে ক্যারিয়ার স্ট্রাইক রেট ৮৬,১৮%; অর্থাৎ সেঞ্চুরি করা ইনিংসগুলোয় শচীন তার ওভারঅল ক্যারিয়ার স্ট্রাইট রেট থেকে অনেক দ্রুত রান তোলে। ১০০ বলে প্রায় ১০০ রান করা শচীন ওডিআই খেলে আসছে সেই সময় থেকে, যখন ওভারপ্রতি সাড়ে ৩ বা ৪ রান করলেই ব্যাটসম্যানরা সন্তুষ্ট থাকতো, সেখানে শচীনের এই স্ট্রাইট রেট সিম্পলি সুপার্ব।

৪৯টা সেঞ্চুরির ৩৩টাই ইন্ডিয়ার জয়ের ক্ষেত্রে এসেছে, ইন্ডিয়া হেরেছে মাত্র ১৪ ম্যাচ। ১টা টাই, ১টা নো রেজাল্ট। অর্থাৎ টেন্ডুলকার সেঞ্চুরি করার পরে ইন্ডিয়া জিতেছে ৬৭,৩%, হেরেছে ২৮,৬% ম্যাচ।

শক্তিশালী দলগুলোর (৭ দল) বিপক্ষে সেঞ্চুরি করে জয়ী ম্যাচে টেন্ডুলকারের স্ট্রাইক রেট ১০০,৭% আর সেঞ্চুরি করে হারা ম্যাচে স্ট্রাইক রেট ৯৫,৪৩%। মাত্র ৫% পার্থক্য এবং হারা ম্যাচেও টেন্ডুলকার প্রতি ১০০ বলে ৯৫ রান করছে!

সেঞ্চুরির হিসাব থেকে সাময়িক বিরতি দিয়ে থেকে ইন্ডিয়ার ওভারঅল জয়-পরাজয়ে টেন্ডুলকারের অবদান দেখা যাক। ইন্ডিয়ার হারের ম্যাচে টেন্ডুলকারের গড় ৩৩, স্ট্রাইক রেট ৮০% আর ইন্ডিয়ার জয়ের ম্যাচে তার গড় ৫৬,৬৫, স্ট্রাইক রেট ৯০,২৪%। গড়ের এই বিশাল ২৬/২৭ রানের পার্থক্য (সাথে স্ট্রাইক রেট) বলে দেয় ইন্ডিয়ার ম্যাচ জয়ে টেন্ডুলকারনির্ভরশীলতার কথা।

এবার আবার সেঞ্চুরি করেও পরাজয়ের হিসাবে ফিরে যাই। ম্যাচ হারের প্রকৃত কারণ সম্পর্কে ধারণা পাওয়া যাবে:
১) ৯৬ এর বিশ্বকাপে শ্রীলংকার বিপক্ষে ১৩৭ বলে ১৩৭ রান: চ্যাম্পিয়ন হওয়ার পথে শ্রীলংকা তখন সবাইকেই উড়িয়ে দিচ্ছিলো। টেন্ডুলকার বাদে শুধুমাত্র আজহার রান পেয়েছিলো ৮০ বলে ৭২। টীম-শ্রীলংকার সামনে দাঁড়াতে পারে নাই ইন্ডিয়ান বোলিং।

২) সিঙ্গার কাপ ৯৬, পাকিস্তানের বিপক্ষে ১১১ বলে ১০০: ইন্ডিয়া মোট রন করেছিলো ৫০ ওভারে ২২৬, দ্বিতীয় সর্বোচ্চ স্কোরার মানজেরেকার ৫৬ বলে ৪১।

৩) সিঙ্গার ওয়ার্লড সিরিজ, শ্রীলংকার বিপক্ষে ১৩৮ বলে ১১০ রান: দলের মোট রান ২২৬ আর আজহারউদ্দিনের মতো অ্যাটাকিং ব্যাটসম্যানের ৯৯ বলে ৫৮ রানই বলে দেয় টেন্ডুলকার দলের অন্য কারো চেয়ে খারাপ খেলে নাই।

৪) কোকাকোলা কাপ ১৯৯৮, অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে ১৩১ বলে ১৪৩: দলের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ রান ৩৫ Wink

৫) শারজাহ ২০০০ শ্রীলংকার বিপক্ষে: ১৪০ বলে ১০১। দলের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ রবিন সিংয়ের ৬১ বলে ৩৫, টোটাল ২২৪।

৬) জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে ২০০০: ১৫৩ বলে ১৪৬। দলের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ স্কোরার নাম্বার ১০ ব্যাটসম্যান জহির খান ৩২!

৭) ২০০১ এ আফ্রিকা: ১২৯ বলে ১০১। গাঙুলি আরেকটু ভালো ব্যাট করেছিলো ১২৬ বলে ১২৭। কিন্তু বিপক্ষে কার্স্টেনের সেঞ্চুরি আর সাউথ আফ্রিকান টপ-মিডল অর্ডারের ব্যাটিংয়ের সামনে ইন্ডিয়ান বোলাররা ২৮০ ডিফেন্ড করতে পারে নাই।

৮) ২০০৪ এ পাকিস্তানের ৩২৯ রানের বিপক্ষে শচীন একাই ফাইট করেছিলো ১৩৫ বলে ১৪১। দলের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ স্কোর দ্রাবিড়ের ৪৫ বলে ৩৬।

৯) ২০০৫ এ পাকিস্তানের বিপক্ষে ১৩০ বলে ১২৩: ইন্ডিয়ান বোলাররা ৩১৫ ডিফেন্ড করতে পারে নাই। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ধোনী ৬৪ বলে ৪৭। আশিষ নেহরা দিয়েছিলো ৯ ওভারে ৭৫ রান।

১০) ১১৩ বলে ১০০ রান পাকিস্তানের বিপক্ষে: ইন্ডিয়ান বোলার কেস আবার। ৩২৮ রান ডিফেন্ড করতে ব্যর্থ।

১১) ২০০৬ এ ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে ১৪৮ বলে ১৪১: ইন্ডিয়ার সংগ্রহ ৩০৯। কিন্তু বৃষ্টির কল্যাণে ওয়েস্টি ইন্ডিজের চেজ ২০ ওভারে কমিয়ে আনা হয়। এরপর ক্রিস গেইলে বিপক্ষে ইন্ডিয়ান বোলার - বাকি কিছু বলার থাকে?

১২) ২০০৯, অস্ট্রেলিয়ার ৩৫০ রান চেজ করতে গিয়ে ইন্ডিয়া করে ৩৪৭, ক্রেডিট টেন্ডুলকারের ১৪১ বলে ১৭৫। টেন্ডুলকার যখন আউট হয় তখন ৩ ওভারে ১৯ রান দরকার ছিলো। ২ মিলিয়ন ডলার ম্যান জাদেজা তখনও ক্রিজে। ওই সামান্য কাজটাও করতে পারে নাই।

১৩) গত বিশ্বকাপে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে ১০১ বলে ১১১। শেভাগ, টেন্ডু আর গম্ভীর ছাড়া কেউ রান পায় নাই। ২৯৬ টোটাল। বাকিটা ইন্ডিয়ান বোলারদের ব্যর্থতা।

১৪) বাংলাদেশের বিপক্ষে ১৪৭ বলে ১১৪। বাংলাদেশের ব্যাটিং, সাথে ইন্ডিয়ার বোলিং। এই ম্যাচে টপ ফর্মে থাকা ভিরাট কোলির স্ট্রাইক রেটও টেন্ডুলকারের মতোই।

সুতরাং শচীন সেঞ্চুরি করার কারণে ম্যাচ হেরেছে, এরকম এমনকি একটা উদাহরণও নাই। বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই সে একাই লড়াই করেছে বিপক্ষের ১১ জনের বিরুদ্ধে।



খেলোয়াড়দের সাথে সাথে দর্শকদেরও অন্তত কিছুটা হলেও পেশাদার হওয়ার দরকার আছে ।

Saturday, March 10, 2012

লাই ডিটেক্টর এবং মাইক্রোএক্সপ্রেশন(অভিব্যক্তির)প্রযুক্তি-মানবসভ্যতাকে এগিয়ে নিতে যার অবদান অসীম

মানুষের আবেগের সাতটি সার্বজনীন মুখাভিব্যাক্তি(এফ.বি.আই শনাক্তকৃত)










মানুষের মুখাভিব্যাক্তি নিয়ে গবেষণা চলে আসছে যুগ যুগ ধরে।চোখের অভিব্যক্তি,নাক সংকোচন,ভ্রু নিরীক্ষণ,গাল সংকোচন ইত্যাদি পরীক্ষা করে মানুষের মনের ভেতর কি চলছে তা অনুমান করার উপায় মানুষ বহু আগেই রপ্ত করে নিয়েছে।এ ধরণের বিদ্যাকে মাইক্রোএক্সপ্রেশন বলা হয়।এছাড়াও আবিষ্কৃত হয়েছে "লাই ডিটেক্টর" বা মিথ্যা নির্ণায়ক যন্ত্র। 

লাই ডিটেক্টর যন্ত্র:
______________________
মিথ্যাকথা বলা:

মানুষ মিথ্যা কথা বললে তার চেহারায় বেশ কিছু অভিব্যাক্তি প্রকাশ পায়।মিথ্যা বলার সময় চোখের অভিব্যক্তি,নাক সংকোচন,ভ্রু নিরীক্ষণ,গাল সংকোচন ইত্যাদি বিবেচনা করে মনোবিজ্ঞানীরা মোটামুটিভাবে মানষের ছয় রকমের অভিনয় কৌশলকে শনাক্ত করেছেন। 
নিচের চিত্রে ব্যাপারটি লক্ষণীয়:

 
একটি বাড়িতে খুন হয়েছে। বাড়ির সদস্য, পরিচারক সবাই উপস্থিত। একে অন্যকে সন্দেহও করতে পারছে না। অবশেষে শরণাপন্ন হতে হল পুলিশের। পুলিশ সকলের সঙ্গে কথা বলল। রহস্য ক্রমেই জটিল হতে থাকে। শেষে রহস্য উদ্‌ঘাটনের জন্য সকল সদস্যকে বসানো হল ‘লাই ডিটেক্টর’-এর সামনে। কয়েকটি শব্দ-প্রয়োগে শারীরিক টানাপোড়েনের প্রকাশ ঘটে এই যন্ত্রের মাধ্যমে। চিহ্নিত হয়ে যায় অপরাধী।
 
কি এই লাই ডিটেক্টর?
লাই ডিটেক্টরের বাংলা হল ‘মিথ্যে ধরার যন্ত্র’।শারীরিক-বিজ্ঞানের কয়েকটি পর্যায়কে বিশ্লেষণ করাই হল এই যন্ত্রটির কাজ।প্রতিক্রিয়াকাল, রক্তচাপ, নিঃশ্বাস-প্রশ্বাসের গতিপ্রকৃতি, পেশির মধ্যে বয়ে যাওয়া বৈদ্যুতিক তরঙ্গ, শরীরের বিভিন্ন অংশে রক্তপ্রবাহের তারতম্য—মূলত এই নিয়েই লাই ডিটেক্টরের কাজ।

 

কিভাবে কাজ করে?
প্রত্যেক মানুষেরই মানসিক অনুভূতির সঙ্গে শারীরিক পরিবর্তন ঘটে। রেগে গেলে যে-প্রতিক্রিয়া হয়, আনন্দে তেমনটা হয় না। আবার দুঃখের সময়ে তার শরীরে বিদ্যুৎপ্রবাহ হয় অন্যরকম। ঠিক সেই রকমই মিথ্যে কথা বলতে গিয়ে শারীরিক বহিঃপ্রকাশ হয় এক-এক জনের এক-এক রকম। কারও কান লাল হয়ে যায়, কেউ ঢোঁক গেলে, আবার কারও কথা জড়িয়ে যায়। মনের তখন দোদুল্যমান অবস্থা। সত্য উদ্‌ঘাটনের বিরুদ্ধে গিয়ে মনকে কাজ করতে হয়। প্রবল টানাপোড়েন চলে দুই বিপরীতমুখী শক্তির মধ্যে। এর ফলে আভ্যন্তরিক উত্তেজনা বেড়ে যায়। শরীরের ভিতরে চলতে থাকে ঘাত-প্রতিঘাত। অপরাধী অনুভব করে, কিন্তু বাইরে থেকে এই পরিবর্তন বোঝা যায় না। লাই ডিটেক্টরের সূক্ষ্ম যন্ত্রপাতির সাহায্যেই রহস্যের উন্মোচন হয়।

 
পলিগ্রাফ

‘পলি’ মানে একাধিক, ‘গ্রাফ’ মানে রেখাচিত্র। বিশেষজ্ঞদের কাছে এজন্যই এ-যন্ত্রটি ‘পলিগ্রাফ’। অবশ্য সাধারণ মানুষ তাকেই লাই ডিটেক্টর নামে জানে। এই যন্ত্রটি থেকে একাধিক শারীরিক পরিবর্তনের রেখাচিত্র একসঙ্গে পাওয়া যায় বলেই একে বলা হয় পলিগ্রাফ। যে-ব্যক্তিকে লাই ডিটেক্টরের সামনে বসানো হয়, তার নাকে ও মুখে হাওয়া-ভর্তি রবারের আবরণ পরিয়ে দেওয়া হয়। এর অন্য প্রান্ত যুক্ত থাকে একটি ধাতব কলমের সঙ্গে এবং সেই কলমের নিবও আলতো করে বসানো থাকে চলমান কাগজের ওপর। নিশ্বাস-প্রশ্বাস ওঠা-নামার সঙ্গে সঙ্গেই কলম কাঁপতে থাকে। এর থেকে নিশ্বাস-প্রশ্বাসের গতিপ্রকৃতিও বোঝা যায়। ব্যক্তিবিশেষের ওপর নিশ্বাস-প্রশ্বাসের গতিপ্রকৃতির তারতম্য ঘটে। উত্তেজনায়, আবেগে কারও দম বন্ধ হয়ে যায়। কেউ ঘন ঘন শ্বাস নেয়। বিশেষ কোনও শব্দের প্রতিক্রিয়ায় শ্বাসের ছন্দ হারিয়ে যায়। তা-ই ধরা পড়ে যন্ত্রের মাধ্যমে। বিচারকদের সূক্ষ্মাতিসূক্ষ্ম বিশ্লেষণের মাধ্যমেই অপরাধী চিহ্নিত হয়।

 
রক্তচাপ মাপার জন্য চিকিৎসকরা ‘স্ফিগ্‌মোম্যানোমিটার’ ব্যবহার করেন। মনে কোনও রকম উত্তেজনা ঘটলে কারও স্বাভাবিক গড় রক্তচাপ হঠাৎ বেড়ে যায়। বিশেষ বিশেষ শব্দের প্রতিক্রিয়ায় রক্তচাপেরও তারতম্য ঘটে। কখনও বেড়ে যায়, আবার কখনও বা কমে যায়। রক্তচাপের সর্বোচ্চ ও সর্বনিম্ন দুটি মানকেই বিচার করা হয়। পরিভাষায় এদের বলে ‘সিসটোলিক’ ও ‘ডায়াসটোলিক’ প্রেশার। লাই ডিটেক্টর যন্ত্রে শুধুমাত্র সর্বোচ্চ মানটিই নেওয়া হয়।

 
লাই ডিটেক্টর দিয়ে তদন্ত করার সময়ে শব্দ প্রয়োগ করাটা বিশেষ ব্যাপার। মনোবিজ্ঞানীরা এমন কিছু শব্দ চয়ন করেন, যা অপরাধীর মনকে দোলা দেয়। অপরাধের প্রক্রিয়া এবং পরিস্থিতি অনুযায়ী সাধারণত শব্দ চয়ন করা হয়। দুটি একই ধরনের অপরাধের ক্ষেত্রেও শব্দ-তালিকা ভিন্ন হতে পারে। অপরাধ কোথায়, কখন, কীভাবে সংঘটিত হয়েছে এবং কী কী ‘ক্লু’ বা সূত্র পাওয়া গেছে— সেইসঙ্গে সন্দেহভাজন ব্যক্তিরা কীভাবে জড়িয়ে পড়েছে—এই সমস্ত বিষয় মাথায় রেখেই শব্দ-তালিকা তৈরি করা হয়। শব্দ প্রয়োগের ফলে ক্রিয়া বা উত্তেজনার জন্য কোনও ব্যক্তির প্রতিক্রিয়া জানাতে যে-সময় লাগে, তাকেই বলে ‘প্রতিক্রিয়াকাল’। কোনও ব্যক্তি যদি খুন করে, আবার কেউ যদি চুরি করে, তবে ‘খুন’ বা ‘চুরি’ শব্দ দুটি সঠিক ব্যক্তির উদ্দেশ্যে প্রয়োগে তার প্রতিক্রিয়াকাল অপেক্ষাকৃত বেশি হয়। এই প্রতিক্রিয়া বিশ্লেষণের জন্য বিশেষজ্ঞ হওয়া দরকার। কারণ, বিশেষ শব্দ প্রয়োগের ক্ষেত্রে কোনও নিরপরাধ ব্যক্তিরও প্রতিক্রিয়াকাল দীর্ঘতর হতে পারে। যদি সেই শব্দ তার জীবনের কোনও সময়কে স্পর্শ করে থাকে।

 
মাংসপেশির বৈদ্যুতিক রোধ লাই ডিটেক্টর-এর পরিবর্তনও লক্ষ করে। আমাদের পেশিগুলি বিদ্যুৎ পরিবাহী। এর ভিতর দিয়ে মৃদু অথচ সহনীয় ভোল্টেজের বিদ্যুৎ প্রবাহিত করানো যেতে পারে। কিন্তু বিদ্যুৎ পরিবাহী মাধ্যমের নিজস্ব বিশেষ রোধ থাকবেই। পেশিরও আছে। কিন্তু অন্যান্য জড় পরিবাহী পদার্থের মতো পেশির রোধ সব সময় একই থাকে না। বিভিন্ন মানসিক অবস্থার সঙ্গে এর পরিবর্তন হয়। দেখা গেছে, যত বেশি উত্তেজনার সৃষ্টি হয়, পেশির রোধ তত বেড়ে যায়। শরীরের পেশির সঙ্গে ‘গ্যালভানোমিটার’-এর সংযোগ করে দিলে দেখা যাবে এর কাঁটা থিরথির করে কাঁপছে। আবার বিভিন্ন উত্তেজিত অবস্থায় পেশির রোধ বিভিন্ন রকমের হওয়ায় কাঁটার বিক্ষেপও বিভিন্ন রকমের হয়। বিভিন্ন উত্তেজক শব্দ প্রয়োগের ফলে কাঁটার যে-বিক্ষেপ হয়, তা থেকে ব্যক্তির অপরাধবোধের সঙ্গে কতখানি সম্পর্ক, তা-ও নির্ণয় করা যায়। গ্যালভানোমিটারের সঙ্গে পেশির এই প্রতিক্রিয়ার পারিভাষিক নাম ‘গ্যালভানিক স্কিন রেসপন্স’ বা ‘জি. এস. আর.’। লাই ডিটেক্টর-এর একটি যন্ত্রাংশের কাজ হল এই জি. এস. আর. মাপা।

 
 
আধুনিকপদ্ধতিতে পলিগ্রাফ নির্ণয়
 
এফ.বি.আই অফিসে প্রাপ্ত পলিগ্রাফ অ্যানালাইসিস চলছে

১৯২৩ সালে মনোবিজ্ঞানী জে. এ. লার্সন প্রথম মনোবিজ্ঞানের তত্ত্বগুলিকে কাজে লাগিয়ে কীভাবে মিথ্যা ধরা যেতে পারে তা হাতে-কলমে দেখান। ১৯২৬ সালে ডঃ কিলার নামে এক প্রযুক্তিবিদ তত্ত্বগুলি নিয়ে স্বয়ংসম্পূর্ণ এক যন্ত্রের রূপ দেন, যা ‘কিলার পলিগ্রাফ’ নামে পরিচিত ছিল। ১৯৪২ সালে রাশিয়ান মনোবিজ্ঞানী এফ. ই. ইনবো কীভাবে পলিগ্রাফের তত্ত্বগুলি বিশ্লেষণ করতে হবে, তার প্রামাণ্য কৌশল উদ্ভাবন করেন। মনোবিজ্ঞানী এ. আর. লুরিয়া লাই ডিটেক্টরে নতুন একটি পদ্ধতি সংযোজিত করেছেন। কোনও কাজ করতে গিয়ে আমরা যদি টেনশন বোধ করি, তা হলে আমাদের হাত কাঁপতে থাকে (সেকেণ্ডে প্রায় ১০ থেকে ১২ বার)। খালি চোখে এই কম্পন বোঝা যায় না। কিন্তু প্রত্যেকটি আঙুলের সঙ্গে সুইচ যুক্ত থাকলে তাতে চাপের ফলে রেখাচিত্র তৈরি হয়। মিথ্যে কথা ধরায় এই পদ্ধতি বেশ কাজ দেয়।

মাইক্রোএক্সপ্রেশন প্রযুক্তি:
_______________________________

 
মাইক্রোএক্সপ্রেশন একধরণের মনোভিব্যাক্তি,যা মানুষ অজ্ঞতাবশত কোন আবেগ লুকানোর সময় অসতর্কভাবে প্রকাশ করে থাকে।এটি বিশেষভাবে ৭টি ভাগে বিভক্ত।এগুলো হল:ক্রোধ,বিরক্তি,খুশী,ভয়,দু:খ,চমক এবং তাচ্ছিল্য।
 

প্রফেসর পল ইকম্যান "কিভাবে মিথ্যা নির্ণয় করা যায়"এবং "চোখ নড়াচড়া এবং মিথ্যা" এবং "মিথ্যাবলা ও শারিরীক ভংগিমা"নামে তিনটি আর্টিকেল লিখে বিখ্যাত হয়ে যান।তিনি ডারউইনের বই"মানুষ এবং পশুপাখির আবেগাভুনূতি" মাইক্রোএক্সপ্রেশনের ক্ষেত্রে একটি তাৎপর্যপূর্ণ বলে মত দেন।

 
প্রফেসর পল ইকম্যান


হোগার্ড এবং আইজাক ১৯৬০ সালে মাইক্রোএক্সপ্রেশনের তত্ব আবিষ্কার করেন।"সাইকোথ্যারাপিতে ইগো ম্যাকানিজমের নির্দেশক হল মাইক্রোএক্সপ্রেশন" এই স্লোগানটি নিয়ে ১৯৬৬ সালে দেখান কিভাবে মাইক্রোএক্সপ্রেশনের ব্যাপারসেপার নিয়ে তাঁরা গবেষণা করেছেন।


Thursday, January 12, 2012

নোকিয়া ফোন আনলক করবেন টাকা ছাড়া

এই লিংকে যেয়ে আপনার নোকিয়া ফোনের IMEI নম্বর দিয়ে এগ্রি তে ক্লিক করে Generate ট্যাবে ক্লিক করলেই পেয়ে যাবেন আপনার নোকিয়ার মাষ্টার সিকিউরিটি কোড

Tuesday, January 10, 2012

নিজের হাতের লেখা দিয়েই ফন্ট তৈরি করুন

আজ আমি আলোচনা করব কিভাবে ফন্ট  তৈরি করতে হয় । আমরা যারা ডিজাইনের কাজ অথবা মাইক্রোসফট্ অফিস নিয়ে কাজ করি তাদের বিভিন্ন সময় একটু আলাদা বৈশিষ্ট্যের ফন্টের দরকার হয় । এছাড়া আমরা নিজের হাতের লেখা দিয়ে ফন্ট তৈরি করতে পারি

  1. এই লিংক থেকে ফন্ট ক্রিয়েটর ডাউনলোড করুন ও ইন্সটল করুন।
  2. এরপর ফন্ট ক্রিয়েটর স্টার্ট করে এন্টার কোডক্লিক করে সিরিয়াল নাম্বার কপি করে দিলে রেজিস্টেশন হয়ে যাবে।
  3. প্রথমে হাতের লেখা স্ক্যান করে প্রতিটি অক্ষর illustrator দিয়ে কেটে প্রতিটি image jpg আকারে(600*400 pixel) একটি নির্দিষ্ট File এ সেভ করতে হবে অথবা অল প্রোগ্রাম থেকে paint চালু করে অক্ষর একে ‍jpg আকারে সেভ করা যেতে পারে।  
ফাইল থেকে নিউ ‍সিলেক্ট  করে (নিচের সেটিং অনুযায়ি বসিয়ে OK করে দিন)


এবার এক একটি অক্ষর সিলেক্ট করলে নিচের window বের হবে

এবার import image থেকে load image পরে image select করে generate ক্লিক করতে হবে
image লোড হয়ে গেলে ক্রস চিহ্ন ক্লিক করে ২য অক্ষরে ক্লিক করতে হবে
সব image লোড হযে গেলে F5 ক্লিক করে ফন্ট টেস্ট করা যাবে
File থেকে Save ক্লিক করে ফন্ট Save ‍করে রাখতে হবে
সবশেষে মেনুবারের Font মেনু থেকে install করে
ms word গিয়ে font select করে লেখা যেতে পারে
প্রতিটি Link এ Click করে 5 second Wait করেন । তারপর ডানদিকের উপরের ad skip তে click করুন।


একটি কপি/পেস্ট প্রযোজনা সৌজন্যে টেকটুইটস

Tuesday, January 3, 2012

চমকে দিন আপনার ফেসবুক বন্ধুদের ফেসবুক চ্যাট এ

আসসালামু আলাইকুম, আশা করি সবাই ভাল আছেন।
ফেসবুক চ্যাট এ আপনার বন্ধু দের চমকে দিতে পারেন এক্সট্রা ইমো ব্যাবহার করুন। নিচের ইমেজ গুলো লক্ষ করুন আশা করি বুঝতে পারবেনঃ

সোর্সঃ Famoticon